উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় চিন রাজ্যের বিশাল একটি অংশ পুনর্দখলের সহায়তায় সশস্ত্র ড্রোন মোতায়েন করেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গ্রুপগুলো। চিন রাজ্যের শতকরা মোট ৭০ ভাগ এলাকা এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে চিন ন্যাশনাল আর্মির (সিএনএ)। এই গ্রুপটির আছে কয়েক হাজার বাণিজ্যিক ও কৃষিভিত্তিক ড্রোন। বৃটেনের দ্য গার্ডিয়ানকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে দ্য ডিফেন্স পোস্ট। এসব ড্রোনের বেশির ভাগই চীন থেকে আমদানি করা।
এছাড়া তাদের কাছে আছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কিছু দেশের ড্রোন। ড্রোন পরিচালনাকারীরা ছিলেন এক সময় সাধারণ নাগরিক। তারা এখন সিএনএর ড্রোন ডিপার্টমেন্ট দেখাশোনা করেন। এই বিভাগটি গড়ে তোলা হয়েছে এক বছর আগে। এসব মানুষ কয়েক মাস ধরে ট্রেনিং নিয়েছেন।
এক্ষেত্রে তারা ইউটিউবের টিউটোরিয়াল ব্যবহার করেছেন। সিএনএর সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি রাম কুলহ চুং বলেন, ড্রোন ডিপার্টমেন্টে আছেন দক্ষ তরুণ যোদ্ধা।
এক সময় তাদের কেউ কেউ ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। আবার কেউ কেউ ড্রোন সম্পর্কে শখের বশে দক্ষতা অর্জন করেছেন। তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে নির্ভর করেছে ডিপার্টমেন্ট। তারা এ জন্য অধিক থেকে অধিক সংখ্যক সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
গত বছর অক্টোবর থেকে ভারত সীমান্তের সাথে চিন রাজ্যের সাতটি শহর দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। এই হামলা শুরু কারার পর ভারতের মিজোরাম রাজ্যে পালিয়ে গেছেন মিয়ানমারের প্রায় ৪০০ সেনা সদস্য।
চুং বলেন, আমাদের সফলতার মূলে এসব ড্রোন। কয়েক মাসের পরিকল্পনা এবং প্রশিক্ষণের পর লাইলেনপির মতো অপারেশনগুলো করা হয়েছে।
বিদ্রোহীদের মতে, মিয়ানমারের বিমান বাহিনী ২০২১ সালে লড়াই শুরুর পর থেকে এগিয়ে ছিল। তারাও পরে ড্রোন মোতায়েন করে। বড় একটা সময়ে তারা এ খাতে যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে বিপুল অর্থ খরচ করেছে। তারা হামলা করেছে বিদ্রোহী দখলিকৃত শত শত এলাকা। হত্যা করেছে হাজার হাজার মানুষকে। পক্ষান্তরে এর আংশিক খরচে ড্রোন অপারেট করা যায়।
টিএইচ